স্থানীয়রা জানায়, ১৮ মে গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে সেতুর একাংশ দেবে যায়। ধসে পড়ে নদীতে। মুহূর্তেই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে নদীর দুই পাড়। বিশেষ করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বালিথা, এল্লারচর, দহাকুলা, মেল্লেকপাড়া, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ও আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর, হাজিপুর, বদরতলা ও আরো অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা নিজেরাই ব্রিজের পাশে বাঁশ, কাঠ ও দড়ি দিয়ে অস্থায়ী একটি পারাপার ব্যবস্থা তৈরি করেছেন। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পার হচ্ছেন অনেকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল কয়েক দশক আগে, যখন নদীতে পানি প্রবাহ ছিল না। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড আংশিক খননের মাধ্যমে মরিচ্চাপ নদীতে স্রোতের পুনর্বাহিত করলে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রবল জোয়ার ও স্রোতের ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত এটি ধসে পড়ে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইউএনও শোয়াইব আহম্মেদ বলেন, ‘সেতুটি অনেক পুরোনো এবং সরু। নদী খননের ফলে স্রোতের গতি বেড়েছে, সেটির চাপেই ধসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আপাতত ব্লক ফেলে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুরো সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ দ্রুত একটি টেকসই নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আর কোনো মৃত্যু বা বড় দুর্ঘটনা না ঘটুক, তার আগে সরকারিভাবে সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিতে হবে।