গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে জেলার দুর্গাপুরে বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে পুশ ইন করানো হয়। জানা গেছে, পুশ ইন করানো সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক।
বিজিবি অধীনে থাকা ৩২ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। সেনাবাহিনীর অধীনে আটকদের মধ্যে ৫ জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জনকে বিজয়পুর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে বিজয়পুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারতের মেঘালয়ের বাঘমারা সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন শুরু করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজয়পুর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৩২ জনকে বিজিবি আটক করে।
এদিকে পুশ ইনের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গাপুর বাজারের বিভিন্ন স্থান আরো ৮ জনকে আটক করে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটকরা জানায়, অনেককে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আটকের পর বিমানে করে আসামের রাজধানী গোহাটিতে নিয়ে আসা হয়। পরে গাড়িতে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করায় বিএসএফ। এরা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে। আটককৃতদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে নেত্রকোনা ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
নেত্রকোণা (৩১ বিজিবি) ব্যাটালিয়ান সহকারী পরিচালক মো. আওয়াল হোসেন জানান, ভারতের মেঘালয়ে বাঘমারা ২০০ বিএসএফ কর্তৃক পুশ ইনকৃত মোট ৩২ জন বাংলাদেশিকে আমরা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করি। এদের মধ্যে নারী-শিশু ও পুরুষ রয়েছে।
এদের অনেকেই অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত হয়। সাজা শেষে তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করে বিএসএফ। আমরা তাদের পরিচয় শক্ত হয় চেষ্টা করছি এবং তাদেরকে দুর্গাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করেছি।