সীমান্তে পশু চোরাচালান ও পুশ ইন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

৩৭ বিজিবি জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হাসান
এখন জনপদে
2

আসন্ন ঈদুল আজহায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ, চামড়া ও চোরাচালান রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। এছাড়া পুশ ইন প্রতিরোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন রাঙামাটির লংগদু রাজনগর ব্যাটালিয়ন ৩৭ বিজিবি জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হাসান, পিএসসি।

অধিনায়কের কার্যালয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কুরবানির পশু দেশেই মজুদ রয়েছে। দেশিয় খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাই পথে গরু মহিষ দেশে প্রবেশ বন্ধে বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে সেজন্যও সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি।’

অধিনায়ক আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশ-ইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

এছাড়া ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা নিজেদের ছুটির চিন্তা না করে, সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর আছে এবং থাকবে বলেও জানান তিনি।

এএইচ