ফুটপাত থেকে রাস্তা যেন বর্জ্যের পাহাড়। দুর্গন্ধ সহ্য করেই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এ দৃশ্য চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা রাস্তার মোড়ের। কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি। একই অবস্থা নগরীর অন্যান্য পশুর হাটগুলোতেও।
চট্টগ্রাম নগরীতে এবছর স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১৩টি পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে সিটি করপোরেশন। এর বাইরে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে শতাধিক ছোট ছোট পশুর হাট বসেছে। এসব হাটের বর্জ্য ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরানোর নির্দেশনা থাকলেও মানছেননা কেউই।
এ কারণে হাটের এসব বর্জ্য ড্রেন, নালায় পড়ে পানি চলাচলে বাধা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার মধ্যে এসব বর্জ্য ফেলায় ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
এক পথচারী জানান, অনেক বর্জ্য হয়ে গেছে এখন। মানে বিস্তর, হাঁটা যায় না।
এদিকে সিটি করপোরেশনের দাবি কোরবানির হাটের ময়লা অপসারণে ইজারাদারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ইজারাদাররা বলছেন বৃষ্টির কারণে ময়লা পরিষ্কারে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এক ইজারাদার বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কার করতে তো লোকবল লাগবে। তারপর বাজারে মানুষ বেশি। বাজার শেষ হওয়ার পর পর আমরা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবো।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার আই ইউ এ চৌধুরী বলেন, ‘একদিনের মধ্যে যদি ওরা পরিষ্কার না করে তাহলে ওদের ইজারার কিছু টাকা তো আমাদের কাছে থাকবে। আমরা অথোরিটির সাথে কথা বলবো। যদি কোনো ড্যামারেজ করার সিস্টেম থাকে তাহলে ড্যামারেজ করাবো যাতে ভবিষ্যতে সবাই সতর্ক হয়। আর আমিতো জনসাধারণের জন্য ময়লা রেখে দিব না। পরের দিন আমি পরিষ্কার করে দিব।’
প্রতিদিন চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির পশুর হাট থেকে বর্জ্য তৈরি হচ্ছে প্রায় এক হাজার টন।