তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে অনেকেরই পরিকল্পনা আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন করা।’
মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন হলে জুলাই যুদ্ধে মানুষের জীবন দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে আগামী দিনে একটি সুস্থ রাজনীতি উপহার দেয়ার জন্য। আর সুস্থ রাজনীতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এ দেশটা কারো বাবার দেশ নয়। এ দেশটা কারো পারিবারিক সম্পত্তি নয়। এ দেশ ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। এ দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে তা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে।’
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দেবে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না। বাংলাদেশের মানুষ যদি আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, আমরা রাজা হব না, বাংলাদেশের মানুষকে আমরা প্রজা বানাবো না, আমরা হব দেশের মানুষের সেবক। বাংলাদেশের মানুষের খেদমত করাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য।’
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আহসান হাবিব মাসুদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জামালপুর জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নাটোরের জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ড. মীর নূরুল ইসলাম এবং শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের শুরা সদস্য ড. আহসান হাবীব ইমরোজ। সঞ্চালনায় ছিলেন জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবির।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ময়েজ উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, জেলা জামায়াতের নায়েব আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মুজাহিদুল ইসলাম, শাফিউল আলম, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।