বিক্ষোভের কারণে স্টেশনের কাছে রাজশাহী থেকে খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি ট্রেন এবং ঢাকাগামী মধুমতি, বনলতা, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেমে রয়েছে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর ট্রেন যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ঈদ শেষে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিপর্যয় হতে পারে ট্রেনের শিডিউল।
আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর দাবি সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তাদের দাবি, নন্দনগাছি স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে হবে এবং স্টেশনের সংস্কার করতে হবে।
১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয়। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। বন্ধের আগে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। এখানে দুটি লোকাল ট্রেন থামে। প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ এই স্টেশনের কোনও কার্যক্রম নেই। পুরো স্টেশনের প্লাটফর্মে ছাউনি আছে। স্টপেজ না থাকলেও অনেক সময় ক্রসিং এর জন্য দাঁড়ায় ট্রেন।
সাগরদাঁড়ি ট্রেনের গার্ড মজিবুদ দৌল্লা বলেন, ‘ট্রেন ছাড়ার আগে আন্দোলন নিয়ে কিছু জানা ছিলো না। বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, ‘নন্দন গাছি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করছে। তারা স্টপ এর যে দাবিতে আন্দোলন করছে। এতে বেশ কিছু ট্রেন আটকা পড়েছে। আন্দোলন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে একই দাবিতে গেল ১ মে আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। এ সময় রাজশাহী ও চিলাহাটির মধ্যে চলাচল করা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেল ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।