ঈদুল আজহায় ছুটি শেষ হচ্ছে শনিবার। দীর্ঘ ছুটি শেষে এবার কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। তবে শহরে পা রেখেই অনেকে জানালেন আপনজনকে ফেলে শহরে ফিরে আসা বেদনার।
যাত্রীরা জানান, পড়াশোনা ও জীবিকার তাগিদে ফিরে আসতে হয়েছে। আত্মীয় পরিজন সবাইকে রেখে আসতে তো কষ্ট হয় অবশ্যই।
আজ (শুক্রবার, ১৩ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশনে ৪-৫টি আন্তঃনগর আর ১টি কমিউটার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে, এতে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন যাত্রীরা। এছাড়া ভোর হতেই দেশের নানা গন্তব্য থেকে ১৪টি ট্রেন ঢাকায় আসে।
যাত্রীরা কেউ কেউ জানান, যাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। আবার কেউ কেউ জানান, ভিড় অনেক বেশি ছিল। দাঁড়ানোর মতো জায়গা ছিলও না।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার জানান, বুড়িমারী, এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসের শিডিউল বিপর্যয় ছিল। আর এখন ফিরে আসার ক্ষেত্রে যাত্রী চাপ বেশি রয়েছে। ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনে ৩৩ হাজার ৩১৫টি আসন রয়েছে যাত্রীদের জন্য।
স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৫ মিনিট বিলম্বে পৌঁছেছে, রংপুর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা দেরি করে পৌঁছেছে। এ ছাড়া, বাকি সব ট্রেন নির্ধারিত সময়মত ছেড়ে এসেছে ও গিয়েছে।’
এদিকে বাসযোগেও ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে অনেক। যাত্রীরা জানান, বাসমালিক কর্তৃপক্ষের সেবা পেতে ছিলো স্বদিচ্ছা অভাব। অভিযোগ রয়েছে, বেশি ভাড়া নেয়ারও। যাত্রা ভালো হলেও যানজট ছিলো আর ভাড়াও বেশি রাখা হয়েছে। গাড়ির সার্ভিসও ভালো ছিলো না।
অন্যদিকে, যারা ঈদের আগে গ্রামে যেতে পারেননি, তারা অনেকেই এখন ফিরছেন গ্রামে। কেউবা ঢাকায় ঈদ করে ফিরছেন অন্য জেলার কর্মস্থলে।