গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে নগরীর জিমখানা বস্তি এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ৫৯ হাজার টাকা, মোবাইল, স্বর্ণের চেন ও রুপার ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃত তানভীর নগরীর একজন শীর্ষ মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন ধারায় ১২টি মামলা রয়েছে। গত ১৪মে নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্কের সামনে শাহাদাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথেও সে সম্পৃক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও সে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পুলিশের ওপর হামলার নেতৃত্বদানকারী।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, তানভীরের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন স্পটে মাদক বিক্রি হয়ে থাকে। সে একজন মাদকের ডিলার। এছাড়াও তার বাহিনী রয়েছে যারা নগরীতে মাদক বিক্রির পাশাপাশি চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ পেশার সাথে জড়িত। তবে সে খুব ধূর্ত প্রকৃতির লোক।
সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। নগরীর সিটি পার্কের জিমখানা অংশে আগত দর্শনার্থীদের জিম্মি করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিত তানভীর বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে তার গ্রেপ্তারের খবরে নগরীর জিমখানাসহ আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাশাপাশি আবার অনেকে শঙ্কাও প্রকাশ করছে, আইনের চোখ গলিয়ে যেকোনো সময় জামিনে বেরিয়ে এসে এলাকায় আবার তাণ্ডব শুরু করবে। তাই স্থানীয়দের দাবি এ ধরনের শীর্ষ মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।