চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের খানপাড়া গ্রামের জাকির খান। দীর্ঘদিন ভুগছেন ডায়াবেটিসে, চলতে হয় বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে। এ অবস্থায় খোঁজ পান, ব্রি-১০৫ জাতের ধানের। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক বলে ৩ বিঘা জমিতে শুরু করেন এই ধানের আবাদ।
জাকির খান জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ধানের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। প্রতি বিঘা ধান রোপণে খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় উৎপাদিত ২৮ মণ ধান থেকে পাওয়া যায় ৭ শ’ কেজি চাল।
তিনি জানান, এই ধান যদি করা যায় তাহলে আমরা ডায়াবেটিকমুক্ত চাল খাবো এবং এলাকার মানুষজন উপকৃত হবে।
জেলায় প্রথমবারের মতো এমন ধানের চাষাবাদ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন স্থানীয়রা। এই চাল স্বাস্থ্যসম্মত ও লাভজনক হওয়ায় চাষে আগ্রহ বাড়ছে অনেকের।
নতুন প্রজাতির এই চাল বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। যদি দাম এমনই থাকে তবে ভালো পরিমাণ লাভ করা সম্ভব বলছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমাদের এলাকায় এই জাতটা নতুন। আমরা এই জাতটা দেখে পরবর্তীতে চাষ করবো। গম করার পর, সরিষা করার পর এই ধানটা হয়েছে। ধানের ফলন খুব ভালো। আগামীতে আমরাও ১ থেকে ২ বিঘায় চাষ করবো।
কৃষি বিভাগ বলছে, ব্রি ইন্সটিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে এই ধানের জিআই ৫৫ এর নিচে পাওয়া গেছে। এ চালে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘এ বছর প্রতি হেক্টরে সাড়ে সাত থেকে আট টনের মতো ফলন হয়েছে। যেহেতু দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তাই সামনের বছর এই ধানের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। কৃষক পর্যায়ে এটা জনপ্রিয়তা পাবে।’