প্রায় ১৪ কিলোমিটার সরাইল-অরুয়াইল সড়ক। যার কয়েক কিলোমিটার অংশজুড়ে এমন পরিস্থিতি। সরাইলের দুটি ইউনিয়ন ও নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নের একাংশের বাসিন্দাদের যাতায়াতের এটি একমাত্র সড়ক। মূলত সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ভূইশ্বর বাজার থেকে কালিশিমুল পর্যন্ত দীর্ঘদিন বেহাল। বৃষ্টির সময় সড়কটিতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। যন্ত্রপাতি নষ্টের অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেন যানবাহন চালকরা। এ অবস্থায় দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে দুর্ভোগ নিরসনের দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও যানবাহন চালকরা জানান, প্রতিবার অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার করার ফলে বারবার এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের মূল জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে এই রাস্তার কারণে আমরা ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারি না। সরাইল থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত পুরো রাস্তাটাই এরকম। যাদেরকে টেন্ডার দেয়া হয় তারা ঠিকমতো কাজ করে না, যার ফলে আমাদের দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না।
এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দাবি, সড়কের একপাশে হাওর থাকায় বর্ষায় পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে চলমান বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে আমরাই কাজ শুরু করতে দিই নি অথবা কনট্রাক্টরের একটু অমনোযোগ ছিলো। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ার এক মাসের মধ্যে কাজটা শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।’
এদিকে, সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ভাঙা অংশ দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। সড়কটি সংস্কারে গেলো বছরের জুনে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে মেয়াদ শেষ হলেও বন্ধ রয়েছে সংস্কার কাজ।