স্থানীয়রা জানান, এসব জলমহাল থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ যেমন ফসলের জন্য পানি দিতে পারে না, তেমনি প্রয়োজনীয় কাজেও এ পানি ব্যবহার করতে পারত না। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসী জলমহাল উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি সে লক্ষ্যে খুলনা জেলার ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু জেলা দশটি খাল উন্মুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। এর মধ্যে নাছিরপুর খাল অন্যতম। পর্যায়ক্রমে এ খালটি উন্মুক্ত করা হবে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।’
উল্লেখ্য, পাইকগাছা উপজেলার নাছিরপুরে খাল দখলকে কেন্দ্র করে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। অস্ত্রশস্ত্রসহ দখল-পাল্টা দখলের মহড়া চালায় এলাকার প্রভাবশালী মহল। সেখানে মৎস্যজীবীদের মারধর করে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাছিরপুর খালটি ইজারার জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টেন্ডার দাখিল করা হলেও কোনো পক্ষকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, গত এপ্রিলে টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। খালটি দখলদারিত্বের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী শাহাদাত হোসেন ডাবলু ও তার সহযোগীদের নামে অভিযোগ করেন সেখানকার মৎস্যজীবীরা। কয়েক দফা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান তারা।
স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, দখল-পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে সেখানে সাধারণ মৎস্যজীবীদের মারধর করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও মেলেনি সমাধান।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটির সর্বশেষ সভায় নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিল খুলনা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জলমহালগুলো ব্যবহার উপযোগী করার পাশাপাশি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন।