নাজমা বেগম স্বামীকে হারিয়ে ৭ সন্তান নিয়েই জীবন যুদ্ধে টিকে ছিলেন স্বামীর ভিটায়। কিন্তু ২০২৪ সালের পদ্মার ভাঙনে তিন বিঘা জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি।
দিশেহারা নাজমা আশ্রয় নেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ফেলে রাখা জমিতে। কিন্তু হঠাৎ-ই জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় তিনি। তিনি জানান, তাকে উচ্ছেদ করা হলে পথে বসা ছাড়া আর উপায় থাকবে না তার।
শরীয়তপুরের জাজিরায় নদী ভাঙনের শিকার নাজমা বেগম বলেন, ‘আশ্রয়হীন হয়েছি, কিন্তু এখন আমাদের এভাবে থাকতে দেবে না। তারা নোটিশ দিয়েছে, সে নোটিশ অনুযায়ী এক মাস পর বাড়িঘর ভেঙে চলে যেতে বলেছে।’
একই অবস্থা আরো দুই শতাধিক পরিবারের, যারা তাদের সর্বস্ব হারিয়ে গাদাগাদি করে থাকছেন সেতু কর্তৃপক্ষের ফেলে রাখা জমিতে। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেও মাথা গোজার এই ঠাঁই নিয়েও রয়েছেন তারা অনিশ্চয়তায়। কারণ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশ অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে ঘর ছাড়তে হবে তাদের।
শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকার ভাঙনকবলিত মানুষরা জানান, তাদের থাকার মত জায়গা নেই এবং কোথায় যাবেন সেটাও জানেন না তারা। এ ছাড়া, সরকারের কাছে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান অনেকে।
বিষয়টি ভাবিয়েছে প্রশাসনকেও, তাই নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর জন্য জমির ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেন, জেলা প্রশাসক।
শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ওয়াহিদ হোসেন বলেন, ‘পদ্মার ভাঙনে যেসব মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।’
২০২৪ সালের পদ্মা নদীর তাণ্ডবে জাজিরার পাইনপাড় এলাকায় ভাঙনে বিলীন হয় বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ দুই শতাধিক পরিবারের ভিটে মাটি।