এসব সড়ক দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের এই দুরবস্থার কথা বারবার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, ‘রাতে যখন বৃষ্টি হয় তখন পানি জমে থাকে। কোনটা গর্ত, কোনটা রাস্তা বোঝা যায় না। হাঁটার উপযোগী থাকে না। এ রাস্তার দুর্ভোগ আমরা অনেকদিন ধরে পোহাচ্ছি। কোন রোগী নিয়ে যাওয়া যায় না, গাড়ি চালানো যায় না। টায়ার গর্তে পড়ে যায়।’
সমস্যার কথা স্বীকার করে পৌর প্রশাসক বলছেন, এসব সড়ক মেরামতের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।
ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক কাওছার হোসেন বলেন, ‘প্রতিটা রাস্তা আমাদের সিটিসিআরসি প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফেইজে এপ্রুভ করা আছে। এরইমধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৫টি রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩টি এবং সর্বশেষ পর্যায়ে ৮টি রাস্তা মেরামত ও সংস্কার করবো আমরা।’
এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকা দুর্ভোগে শহরবাসী হারাচ্ছেন ধৈর্য। তারা বলছেন, ভাঙা রাস্তায় প্রতিদিন চলতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের কিন্তু সমাধানে নেই দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি।