সমাবেশে নিহত সাজিদ আবদুল্লাহ'র সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সবাই একত্রিত হয়েছি, আমার ভাই সাজিদের বিচারের দাবিতে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ অন্যান্য প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে। এতে দেরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।’
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসময় শিক্ষার্থীরা সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা, পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের এন্ট্রি ও এক্সিট শতভাগ মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, ক্যাম্পাসের চারপাশে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা বেষ্টিত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও সক্রিয় রাখা ও বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা লাশ দেখে প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। আমাদের জনানোর প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর সেই লাশ উদ্ধার করা হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে থানা হওয়ার পরেও পুলিশ আসতে এতো সময় লাগলো কেন? এছাড়া লাশ উঠানোর প্রায় আধা ঘণ্টা পার হলেও সেখানে কোনও ডাক্তার বা অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। পরে আমরা বাধ্য হয়ে ভ্যানে করে তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাই। এরপর তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাজিদ আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।