বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত ৮টার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র্যালিতে হাটহাজারী মাদরাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মসজিদ ও মাদরাসার দিকে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এ হামলায় শতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং স্পষ্ট উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড। মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় পবিত্র স্থানে অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন:
জামায়াত নেতার বক্তব্যে বলা হয়, হামলার মাধ্যমে সমাজে বিভেদ ও সহিংসতা ছড়ানোর অশুভ চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসলামের শিক্ষা হলো শান্তি, সংযম ও সহনশীলতা। তাই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।