নিহতরা হলেন—চকলেংগুরা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪) এবং কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার (২১)। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর কিছুদিন স্বামীর বাড়িতে থাকলেও পরবর্তীতে সোহাগ মিয়া স্ত্রী-সন্তানসহ শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার সোহাগ নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। রোববার ভোরে তাদের ঘর থেকে শিশু কন্যার কান্না শুনে ঘুম ভাঙে ঝুমার বাবা রহিম উদ্দিনের। পরে তিনি ঘরে গিয়ে দেখেন, ঘরের ধরনার সঙ্গে ঝুলছে মেয়ে ও জামাইয়ের মরদেহ। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত সোহাগের ভাই হাসান আলী জানান, আমার ভাই ও ভাবি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও তা মিটে যেত। এমন ঘটনা ঘটবে, আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’