জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে চলাচল উপযোগী হলো সখিপুর-ভালুকা সড়ক

টাঙ্গাইল
সখিপুর-ভালুকা সড়কের মেরামত কার্যক্রম
এখন জনপদে
2

টাঙ্গাইলে খানাখন্দে ভরা সখিপুর-ভালুকা সড়কটি জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারী ও অতি বৃষ্টিপাতের কারণে সখিপুর-ভালুকা সড়কের মিলপাড়া মোড়সহ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক খানাখন্দ তৈরি হয়। সেখানে পানি জমে ছোট-বড় মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন, পথচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে।

এ রাস্তায় প্রতিদিন, সখিপুর সরকারি কলেজ, সখিপুর পিএম পাইলট সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সখিপুর পিএম পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ও বড় সংখ্যক পথচারী চলাচল করেন। স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

বিষয়টি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের দৃষ্টিগোচর হলে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে অবহিত করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে বিভাগীয় মেরামতের মাধ্যমে সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

সড়ক ও জনপথ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান জানান, সম্প্রতি ভারী ও অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ভালুকা-সখিপুর সড়কের মিলপাড়া নামক স্থানে সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হলে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগীয় মেরামতের মাধ্যমে সড়কটি যানবাহন চলাচল উপযোগী করা হয়।

সড়কটির স্থায়ী সংস্কার কাজ সম্পাদনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরে পিরিয়ডিক মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রাম সড়ক মেজরের আওতায় আড়াইপাড়া হতে সখিপুর পর্যন্ত প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, প্রস্তাব অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে আগামী দু তিন মাসের মধ্যে সড়কটির স্থায়ী সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়কটিকে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। অতি দ্রুতই স্থায়ী সংস্কার করা হবে।’

এএইচ