অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রাণ গেল একই পরিবারের চারজনের। অথচ এসব রেলক্রসিংয়ে গেট বসানো বা গেটম্যান নিয়োগের উদ্যোগ নেই রেল কর্তৃপক্ষের। আর এসব গাফিলতির খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিয়ে।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে রেললাইনে অবস্থান নেয়। জানা যায়, দ্রুতগতির পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিএনজিটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এতে পথে ছিটকে পড়ে চারজনের দেহের খণ্ডাংশ। নিহত হন সিএনজিচালক হাবিব উল্লাহও। এ সময় রেললাইনে কোনো গেটম্যান ছিল না বলেও জানান এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুরুয়াখালীর অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং দিয়ে একটি সিএনজি পার হওয়ার সময় হঠাৎ কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। এসময় অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনে আটকে যায়। এ অবস্থায় বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর ট্রেনটি থামলে স্থানীয়রা অটোরিকশার ভেতর থেকে চারজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ চারটি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানালেও জাফর আলম ও নিহতদের নিকটাত্মীয়রা দাবি করেন, নিহতের সংখ্যা পাঁচ। জাফর আলম জানান, তার দুই মেয়ে ও দুই নাতিসহ বাপের বাড়ি থেকে রামুর কালিরছড়া আসমাউলের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় তাদের অটোরিকশাটি ধলিরছড়া রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় হঠাৎ চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক হাবিব উল্লাহসহ পাঁচজন নিহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অরক্ষিত রেলক্রসিং এর কারণে রশিদনগরের তিনটি গেট অরক্ষিত হওয়ার কারণে নিয়মিত এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।