জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাতাসে আজও ভেসে বেড়ায় মায়েদের হাহাকার

ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ
এখন জনপদে
0

সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাতাসে আজও ভেসে বেড়ায় মায়েদের হাহাকার। তাদের কাছে 'জুলাই আন্দোলন' মানেই গুলির আগুনে ঝরে পড়া তাজা প্রাণের নাম। একবছর পেরোলেও বিচার শুরু না হওয়ায় স্বজনদের হতাশা।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে যখন দেশজুড়ে চলছিল সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন এসময় সিলেটের গোলাপগঞ্জ হয়ে ওঠে রক্তাক্ত জনপদ। সকাল থেকে গোলাপগঞ্জে শুরু হয় বিক্ষোভ। ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ- বিজিবি। একসময় প্রতিরোধ রূপ নেয় সংঘর্ষে।

এ দিন পুলিশ ও বিজিবির রাবার বুলেটে প্রাণ হারান ২৪ বছর বয়সী রাজমিস্ত্রি সানি আহমদ। জুলাই আন্দোলনে নিহত ছেলের স্মৃতি আগলে রেখে দিন পার করছেন মা রুবিয়া বেগম। ছেলের কথা স্মরণ করে চোখের জলে বুক ভাসান।

আরও পড়ুন:

জুলাই আন্দোলনে নিহত হন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা সিএনজিচালক গৌছ উদ্দিন, দক্ষিণ রায়গড়ের জয় আহমদ, দত্তরাইলের ২২ বছর বয়সী মিনহাজ আহমদ, লক্ষনাবন্দের ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম ও বারোকোটের তাজ উদ্দিন। স্বজন হারিয়ে বিধ্বস্ত প্রতিটি পরিবার।

শহিদ তাজ উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চা নিয়া খুব অসহায় হয়ে আছি। তার খুব বড় স্বপ্ন ছিল বড় মেয়েরে নার্স বানাবো। তার স্বপ্ন পূরণ হইলো না।’

শহিদ পাবেলের বাবা বলেন, ‘এটি নজিরবিহীন ঘটনা এর বিচার তো অবশ্যই হতে হবে। এটা খালি আমার না হাজার হাজার মানুষের কষ্ট এই যে গুলি করছে এর যদি বিচার না হয় তাহলে দেশ কীভাবে চলবো।’

চোখের সামনে গুলিতে ঝরে যাওয়া সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হলো। সেখানে এক বছরেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহতের স্বজনেরা। সরকারের কাছে স্বজনদের দাবি দ্রুত বিচার করা হোক জুলাই হত্যাকাণ্ডের।

সেজু