২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পর থেকে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের অন্যতম রুট হয়ে ওঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল পথ। তবে এ পথ ব্যবহার করে রয়েছে মাদক, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালানের শঙ্কা। এমন বাস্তবতায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে লাগেজ স্ক্যানার বসিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে, রোববার (৩ আগস্ট) দেশের সর্বাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার রেলস্টেশনে শুরু হয় যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং। আমেরিকার ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের এ স্ক্যানারে ধরা পড়বে মাদক, স্বর্ণ, অস্ত্রসহ সন্দেহজনক সবকিছু।
প্রযুক্তির এ সংযোজন রেলপথে নিরাপত্তার পাশাপাশি বাড়িয়েছে যাত্রীদের স্বস্তি। তবে এর মাধ্যমে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেই দাবি তাদের।
রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্টেশন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে স্ক্যানিং। লাগেজের পাশাপাশি সন্দেহভাজন যাত্রীদেরও নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার।
কক্সবাজার স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটা মূলত স্থাপন করা হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য, যাতে কেউ এখান দিয়ে মাদকদ্রব্য বা বেআইনি জিনিসপত্র যেগুলো জনসাধারণের জন্য হুমকির কারণ, সেগুলো নিয়ে যেতে না পারে।’
এর মাধ্যমে দেশের রেলপথে শুরু হলো নিরাপত্তার নতুন এক অধ্যায়। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, দক্ষ জনবল ও নজরদারির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।