১৯১২ সালে নির্মিত হয় নড়াইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবন। প্রায় ১১৬ বছরের এ ভবনে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ে পানি এ ছাড়াও খসে পড়েছে পলেস্তোরা।
জেলা জজ কোর্টের মূল ভবনে প্রয়োজনীয় এজলাস না থাকায় জেলা প্রশাসকের পরিত্যক্ত ভবনে দুটি এজলাসে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত বিচার প্রার্থী। গণপূর্ত বিভাগ ১৯৯০ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও নির্মাণ করা হয়নি নতুন ভবন।
২য় তলা বিশিষ্ট এ ভবনে রয়েছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ১ আর ২। যেখানে আমলি আদালত লোহাগড়া ও নড়াগাতী থানার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও ভবনটিতে রয়েছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খাস কামরা, অতিরিক্ত ও সহকারী পিপিদের চেম্বার, লাইব্রেরি ও রেকর্ড রুম।
নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বলেন, ‘এখানে বিচার প্রার্থী যারা আসেন তাদের ক্ষেত্রে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো সময় ভবনটি যদি ধসে পড়ে তাহলে প্রাণহানি হতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
গণপূর্ত বিভাগ বলছে জজ কোর্ট ভবনের তৃতীয় তলায় নতুন করে এজলাস নির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আধুনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
নড়াইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সারোয়ার হোসেইন এ বিষয়ে বলেন, ‘সম্প্রতি নতুন এজলাসের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা। ভবনটির কাজ বাস্তবায়ন হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাজে গতিশীলতা আসবে।’