নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে পুশ ইন

পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিজিবি
এখন জনপদে
0

নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ (শুক্রবার, ৮ আগস্ট) ভোরে জেলার ধামইরহাট ও সাপাহার উপজেলার সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত পিলার ২৭১/১ এস এবং সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস দিয়ে পুশ ইন করা হয়।

ধামইরহাটে আটকরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শিশু সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নুপুর খানম (২২), শিশু আশিকা খানম (৪), মনিরা খাতুন (১৮), রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার ( ১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), ববিতা শিকদার (৩৫), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার দুলি বেগম (৪০)।

সাপাহারে আটকরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী হেনা খাতুন (৩৮), একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) এবং ছেলে রমজান (আড়াই বছর)।

বিজিবি ১৪ (পত্নীতলা) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ভোরে ১৪ বিজিবির কালুপাড়া বিওপির টহল দল হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের ৫০গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আম বাগানে তাদেরকে ঘুরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের বোম্বাই শহরে চারজন পুরুষ রাজমিস্ত্রি এবং সাতজন মহিলা বাসা বাড়িতে কাজ করতে যান। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে। শুক্রবার ভোরে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশে পুশ ইন করে।

এদিকে সাপাহার সীমান্তে আটকৃতরাও কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে বাসা–বাড়িতে কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠালে ভোরে তাদেরকেও বাংলাদেশ পুশ ইন করা হয়। ভোরে সাপাহারের বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশ থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর বলেন, ‘বিজিবি এখনও আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তরের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আটককৃতদের ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।’

এসএস