গত এক সপ্তাহ যাবত উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের মধ্য অঞ্চল ফরিদপুরের নদ নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প। উজান থেকে নেমে আসা এই পানি জেলার নদীবেষ্টিত চারটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গত কয়েকদিন লাফিয়ে বাড়ছে পদ্মার পানি, আর তার এক সপ্তাহ আগেই টানা বৃষ্টির পানিতে ভরেছিল মাঠঘাট ফসলি জমি। এই পানি বৃদ্ধিতে বিনষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল।
পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে মধুমতি, পদ্মা এবং আড়িয়াল খাঁ তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন এলাকায় জরুরি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
এদিকে এ পানি বৃদ্ধি আগামী আরও পাঁচ দিন টানা থাকবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়রা বলছেন পদ্মা নদীর পানি বাড়ার ফলে তাদের ধানের চারা, সবজি ক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হয়েছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পুরোটাই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন নিম্ন অঞ্চলের মানুষরা।
তবে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ফসলের ক্ষতির পরিসংখ্যান কৃষি বিভাগের কাছে নেই। তারা বলছেন জলাবদ্ধতা ও বৃষ্টির কারণেই ক্ষতি হয়েছে শাক সবজির ।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে আরও ১১ সে.মে বেড়ে বর্তমানে বিপদসীমার ২০ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জেলার নদীবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল পানির প্রবেশ করেছে, নদীর পানি তীর ছুঁই ছুঁই করছে, বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।