এ সময় সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুমের তুমব্রু বাজারে অবস্থান করছিলেন স্থানীয় যুবক মোস্তাকিম আজিজ। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই স্থান থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি বলেন, ‘৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। রাতে এমন পরিস্থিতি হলে আমরা স্থানীয়রা স্বাভাবিকভাবে শঙ্কায় থাকি। জানি না ওপারে কি হতে চলেছে।’
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের অপর প্রান্তে রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দুটি ক্যাম্প রয়েছে। তাদের ধারণা, ক্যাম্পগুলোর মাঝামাঝি স্থান নারিকেল বাগিচায় ১০ দিন পর আবারও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুল হক বলেন, ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অনুপ্রবেশে সহায়তার অভিযোগে সম্প্রতি বিজিবি পাঁচজনকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি। সবাই এখন বান্দরবানের কারাগারে।’
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, ‘ওপারের পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টহল তৎপরতা জোরদার আছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি দাবি করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার এলাকায় তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।