উদ্বোধনের ২ বছরে বিপর্যস্ত টাঙ্গাইল মহাসড়ক; নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের অভিযোগ

টাঙ্গাইল
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক
এখন জনপদে
0

উদ্বোধনের ২ বছরের মাথায় খানাখন্দে বিপর্যস্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার অংশ। যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ও নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কটির এমন চিত্র। পরিবহন নেতারা বলছেন, দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনো কাজ হয়নি। সড়ক বিভাগ বলছে, বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলে স্থায়ী সমাধান করা হবে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কয়েক মাস ধরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা থেকে তারটিয়া পর্যন্ত অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে নামে মাত্র সংস্কার করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর তা উঠে যায়। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ভোগ।

যানবাহনের চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘তাদের গাড়িতে মালামাল পরিবহণে সমস্যা হয়। ঠিক সময়ে ব্রেক করতে পারে না আবার অনেক সময় চাকা গর্তে ডুকে যায়। চলাচলে তাদের অনেক সময়ের অপচয় হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।’

আরও পড়ুন:

পরিবহন নেতারা বলছেন, খানাখন্দের কারণে দুর্ঘটনাসহ গন্তব্যে যেতে কয়েক গুণ বেশি সময় লাগছে। টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সড়কের যে ক্যাপাসিটি তার তুলনায় অধিক লোড দেয়া হচ্ছে সড়কে। এতে সড়ক খণ্ড খণ্ড হয়ে গেছে।’

ওভারলোডের কারণে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী। বর্ষা মৌসুমের পর স্থায়ী সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।

টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমেরী খান বলেন, ‘দশ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে টেম্পোরারি অ্যাড্রেস করছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে বিটুমিনাস দিয়ে কাজ করা হবে।’

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার চারলেন সড়ক উদ্বোধন করা হয়। কাজের শুরু থেকেই স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের।

এফএস