গত শনিবার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে মজুত থাকা সাদা পাথর নিজ খরচে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে প্রশাসনের কাছে জমা দিলে বিনা শর্তে দায়মুক্তি পাওয়া যাবে। এ সময়সীমার পর যাদের কাছে পাথর পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে পাথর ফেরত দিয়ে দায়মুক্তি পাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ঘোষণার পর রোববার ও সোমবার কোম্পানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে অনেক মানুষ নিজ খরচে পাথর ভোলাগঞ্জে এনে জমা দিয়েছেন। ট্রাক, নৌকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মজুতকারীরা এসব পাথর প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পর এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিন মিয়া। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর পর্যটন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, আজও স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে লুট হওয়া পাথর ফেরত দিচ্ছেন। ট্রাকের মাধ্যমে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটে পাথর ডাম্পিং করা হচ্ছে এবং পরে নৌ শ্রমিকদের মাধ্যমে সেই পাথর সাদাপাথরের নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।