এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস, উপজেলা সমাজ সেবা, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আইনি সহায়তা দিতে এদের সীমান্ত থেকে গ্রহণ করবেন জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও রাইটস যশোর নামে ৩টি এনজিও সংস্থা।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। জানা যায়,পাচারের শিকার ১৭ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পর ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। এরা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটকের পর ভারতের বিভিন্ন হোমের আশ্রয়ে ছিল। এদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আটকের পর আইনি জটিলতায় কেউ কেউ দুই থেকে তিন বছর ভারতের হোমে ছিল। পরে ভারত-বাংলাদেশ সরকারের দেয়া স্বদেশ প্রত্যাবাসনে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
আরও পড়ুন:
যশোর জেলা মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস জানান, আজ যারা দেশে ফেরত আসলো ভারত থেকে বাংলাদেশ এ ১৭ জন কিশোর কিশোরী তারা দীর্ঘদিন প্রায় তিন থেকে চার বছর আবার কেউ দুই বছর বিভিন্ন জেলখানায় আটকের পরে শেল্টার রুম থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। দুই দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে তারা আবার দেশে ফেরত আসলো, এদের আমরা নিজ জিম্মায় নিয়ে তাদের পুনর্বাসন করে তাদের নিজ বাড়িতে পাঠাবো। তাদের যদি মামলা হয় বা আইনের সহায়তায় প্রয়োজন হয় তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের (ওসি) ইলিয়াস জানান, আজ ১৭ জন বাংলাদেশি ভারত থেকে ফিরেছে। তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।