অপহৃতের মধ্যে সাতজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন— পার্শেখালি এলাকার ছাকাত সরদারের ছেলে ইব্রাহীম সরদার, গফুর গাজীর ছেলে আব্দুল হাকিম, সুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত মুন্ডা, কালিঞ্চি এলাকার বোরহান গাজীর ছেলে সাত্তার গাজী, কেনা গাজীর ছেলে আকিনুর, কৈখালীর আইনাল গাজীর ছেলে বুলবুল গাজী এবং রমজাননগরে তারানীপুর গ্রামের কাদের হোসেনর ছেলে আরাফাত হোসেন। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ফিরে আসা জেলে ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, অপহৃত জেলেরা দাড়গাং নদী সংলগ্ন খালে নৌকা ও জালদড়া মেরামতের কাজ করছিল। এসময় ছয়-সাতজনের একটি বনদস্যু দল দুই দফায় হামলা চালিয়ে চারটি নৌকা থেকে চারজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়া, হোগল ডোকরা খাল ও কালির খাল থেকে আরও তিনজনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন:
৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলে সুজন মুন্ডা জানান, সুন্দরবনে ‘মুন্না বাহিনী’ নামে একটি নতুন বনদস্যু বাহিনী আত্মপ্রকাশ করেছে এবং তাদের পক্ষ থেকে অপহৃতদের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। তিনি জানান, এ বাহিনীতে ৬ জনকে দেখা গেছে, যাদের মধ্যে নতুন ও ভারতীয় বাসিন্দা রয়েছে এবং হাতে একাধিক অস্ত্র রয়েছে।
রমজাননগর ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লালটু অভিযোগ করেছেন, বনদস্যুদের স্থানীয় সহযোগীরা ৩-৪ দিন আগে ২৫-৩০ হাজার টাকার কাঁচামাল বাজার সরবরাহ করে সুন্দরবনে পাঠিয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক জানিয়েছেন, বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে কয়েকজন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, জেলে অপহরণের তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এ ঘটনার পর সুন্দরবন অঞ্চলে জেলেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বনদস্যুদের দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত সুন্দরবনের গহীনে অভিযান চালানোর দাবি উঠেছে।