শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় লামচর ইউনিয়নের বেড়িবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদরাসায় পূর্ব নির্ধারিত ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী সভাপতি জাফর আহম্মদ পাটোয়ারী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুক ইসলাম সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এজিএস কাশেমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ–সভাপতি সাহাব উদ্দিন তুর্কি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফল ঘোষণার পর এ ধরনের ঘটনা দলকে বিভাজিত করবে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের অভ্যন্তরীণ এই কোনো দল ভালো কোন ফল বয়ে আনবে না’।
আরও পড়ুন:
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজু বলেন, ‘তাকে (উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এজিএস কাশেম) হত্যার উদ্দেশে এ হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
কেন্দ্রীয় ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমি নির্বাচনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলাম। এমন ঘটনায় আমরা লজ্জিত। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ঘটনাগুলো লজ্জাজনক। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বারী বলেন, ‘হামলার খবর শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’