আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রঙরায়েরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মো. বক্কার শেখকে (৪৩) আটক করেছেন পুলিশ। নিহত মর্জিনা বেগম ফরিদপুর সদর উপজেলার ফুরসা গ্রামের মৃত মোচন মোল্যার মেয়ে। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী।
এলাকাবাসী জানান, বক্কার শেখ ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম সন্তানদের নিয়ে রঙরায়েরকান্দী গ্রামে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করতেন। বাড়িতে বক্কারের মা মেহেরুন বেগমও থাকতেন। বক্কার ও তার স্ত্রী মর্জিনা মাঝে মাঝেই ঝগড়া করতেন। মঙ্গলবার সকালেও বক্কার ও মর্জিনার কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায় বক্কারকে ঘর থেকে বের দিয়ে দরজা আটকে দেন স্ত্রী। পরে বক্কার টিনের বেড়া ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে বটির আছাড় দিয়ে মর্জিনার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মারা যান মর্জিনা।
হামলার সময় ঠেকাতে এলে বক্কার তার বৃদ্ধা মা মেহেরুনকেও পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এদিকে ঘটনার পর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন ঘাতক স্বামী বক্কার। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।
সালথা থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে মর্জিনাকে বটির আছাড় দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বক্কারকে আটক করা হয়েছে। কি কারণে স্ত্রীকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করলো, সে বিষয় বক্কারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’