তার মাথার কিছু অংশে এখনও রক্তক্ষরণ থাকায় আজ (বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। তবে তার সজ্ঞানতার মাত্রা কিছুটা উন্নত হওয়ায় চিকিৎসকরা বোর্ড বসিয়ে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেন। তারা আরও পর্যবেক্ষণের পর অস্ত্রোপচার করা হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবেন।
হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সামনে দেখা যায়, সায়েমের স্বজনরা অনিশ্চয়তায় পার করছেন প্রতিটি মুহূর্ত। স্বজনরা জানান, সিটি স্ক্যানে তার মস্তিষ্কের অবস্থার কিছুটা উন্নতি পাওয়ায় আপাতত অস্ত্রোপচার স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। তবে সে শঙ্কামুক্ত নয়।
আরও পড়ুন:
মারামারির সময় হারিয়ে যাওয়া সায়েমের মোবাইলটি হামলাকারীদের কাছে আছে বলে জানান স্বজনরা। তাদের দাবি, মোবাইল ফোনটি ট্রাক করতে পারলে প্রকৃত হামলাকারীদের হদিস পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সায়েমের সর্বোচ্চ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জোবরা গ্রামের স্থানীয়দের সঙ্গে চবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয়রা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার মস্তিষ্কে আঘাত লেগে রক্তনালী বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।