আমড়া চাষে সমৃদ্ধ ঝালকাঠি-পিরোজপুর, বদলাচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি

অর্থনীতি
এখন জনপদে
0

দেশে আমড়া চাষে সুপরিচিত ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা। এখানকার অনুকূল আবহাওয়া আর উর্বর মাটি এ ফল উৎপাদনে যুগিয়েছে বাড়তি সুবিধা। ফলে দিন দিন বাণিজ্যিকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমড়ার আবাদ। সমৃদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি।

ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের গ্রামীণ জনপদ এখন একেকটি আমড়ার আড়ত। ডালে ডালে ঝুলে থাকা সবুজ আমড়া যেন স্থানীয় কৃষকের জীবিকা আর সমৃদ্ধির প্রতীক।

স্থানীয় ভিমরুলি আর আটঘর কুরিয়ানা বাজারে প্রতিদিন আমড়ার কেনাবেচা হয়। গাছ থেকে আমড়া তুলে নৌকা ভর্তি করে হাটে নিয়ে আসে কৃষক। যেখানে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমান পাইকার ও ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে যা পাঠানো হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে আকারভেদে প্রতি মণ আমড়া বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১৩ শ’ টাকায়।

স্থানীয় চাষিরা জানান, এখানের আমড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এতে দাম পাওয়া যায় ভালো এবং খরচ কম হয়। এজন্যই সবাই আমড়া চাষে যুক্ত হচ্ছে।

তবে চলতি বছর প্রতিকূল আবহাওয়ায় আমড়ার প্রত্যাশিত ফলন হয়নি। তবে মৌসুমের শুরুতেই ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। সংশ্লিষ্ট বলছেন, এবার আমড়া কেনাবেচায় ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে অন্তত শত কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।

আরও পড়ুন:

ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর ফলন কম হয়েছে কিন্তু বিক্রি ভালো হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, আমড়া চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কৃষকদের সহায়তায় নিয়মিত পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমড়াতে ভিটামিন সি থাকায় এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকায় এটার চাহিদা বেশ ভালো আছে। সেই সঙ্গে বাজারে দামও ভালো পড়ছে। আশা করি আমড়া চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর ঝালকাঠিতে ৬০২ হেক্টর আর পিরোজপুরে ৫৭৭ হেক্টর জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। যা দুই জেলায় বড় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করছে।

ইএ