হামলায় অর্ধশত মানুষ আহত হলেও রাসেল মোল্লা নামে এক যুবক মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাওয়া পুলিশের দুটি পিকআপ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লা পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরা পাগলা। আশির দশকের শেষ দিকে তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করলে জনরোষ তৈরি হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ মুচলেকা দিয়ে তিনি এলাকা ছাড়েন। কয়েকদিন পর তিনি আবার দরবারে ফিরে কার্যক্রম শুরু করেন। গত ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর তাকে মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচুতে কবর দেয়া হয়। কাবা শরীফের আদলে তৈরি করা হয় কবর। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল জেলাজুড়ে, ফুঁসে উঠেছিল তৌহিদী জনতা।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুম্মার পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরা পাগলার দরবার শরীফে। পাল্টা আক্রমণ করেন নুরা পাগলার ভক্তরা। তুমুল সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধশত মানুষ আহত হন। পরে নুরা পাগলার দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় তৌহিদী জনতা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাক্তার হুমায়ুন কবি জানান, রাজবাড়ী থেকে চারজন ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই রাসেল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।