মামুনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বাসাইলের কাউলজানী নওশেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে এসএসসি ও ২০২০ সালে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে মানবিক বিষয়ে এইচএসসি পাশ করেন।
মামুনের প্রতিবেশী দাদা আজগর আলী বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে মামুন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছিল। এমন ঘটনা আমরা কখনও প্রত্যাশা করি না। মামুনের এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়েছে। মামুনের পুরোপুরি সুস্থতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়া জরুরি।’
চাচা ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামুনের মতো শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। মামুনের অর্থনৈতিক সাপোর্ট প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট প্রয়োজন। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।’
মামুনের চাচী রোমেলা বলেন, ‘মামুনের মতো সহজ সরল ছেলে আমাদের এলাকায় কম আছে। তাকে এভাবে মারধর করা হবে, আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। মামুনের বাবা মা খাওয়া ধাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মামুনের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন:
মামুনের আরেক স্বজন সুলতানা বেগম বলেন, ‘মামুন ছোট সময় থেকে আমাদের সামনে বড় হয়েছে। আমাদের সামনে কখনও মাথা উঁচু করে কথা বলেনি। তার এমন হাল হবে আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। আমরা নামাজ পড়ে মামুনের সুস্থতা কামনায় দোয়া করি।’
মামুনের মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার পাঁচ সন্তানের মধ্যে, সবার ছোট মামুন। ও খুব আদরের আমাদের কাছে। খুব আশা করে বড় করেছি মামুনকে। আমার ছেলে সৎ, সহজ সরল, আমার ছেলে যেতে চায়নি, তাকে জোর করে সহপাঠীরা নিয়ে গেছে। সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।’
মামুনের বাবা শুকুর মাহমুদ বলেন, ‘মামুনকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে রোদে পুড়ে দিন মজুরের কাজ করছি। তার স্বপ্ন পূরণ করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। মামুনের ছবি চোখে ভেসে উঠলে ঠিক থাকতে পারি না। দম বন্ধ হয়ে আসে। মামুনকে উচ্চ চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন। গত ৩১ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের সময় তিনি গুরুতর আহত হয়। তার মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রাখা হয়েছে।