নেত্রকোণায় গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা, বিপর্যয়ে গ্রাহকরা

বন্ধ থাকা নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস
এখন জনপদে
0

নেত্রকোণায় গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চার দফা দাবিতে আন্দোলন ও এ ঘটনায় ছয়জনকে বহিষ্কারের ঘটনায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘোষণা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে ৮০৯ জনের গণছুটিতে দেখা দিয়েছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এতে ভোগান্তিতে জেলার গ্রাহকরা।

আজ (শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন বিভিন্ন গ্রামে দুর্ভোগে পোহান সাধারণ মানুষ। সাময়িকভাবে কোথাও কোথাও সমাধান হলেও কোথাও আবার চব্বিশ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা চলছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের সিস্টেম সংস্কার এবং আরইবির শোষণ, নিপীড়ন এবং নিম্নমানের মালামাল থেকে মুক্তির (৪ দফা) দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিলেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কিন্তু এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় বেশ কয়েকজনকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে চারজনকে সাময়িক ও দুইজনকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে ৮০৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের ছুটির আবেদন দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:

ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা থেকে এখন বিপর্যয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। যদিও ঠিকাদার দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জেলার বারহাট্টা, দূর্গাপুর পূর্বধলা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক গ্রামে বিদ্যুৎ নেই।

বারহাট্টার বাট্টাপাড়া এলাকার সোহাগ মিয়া ও মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছাড়া দোকানপাটের ফ্রিজের জিনিস কেউ নিচ্ছে না। শিশু বৃদ্ধ সকলেই কষ্টে আছে। পুকুরে অক্সিজেন হচ্ছেনা। মাছ মরে ভেসে উঠছে। তবে অন্য জেলা থেকে লোকবল এনে সমাধানের চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।

পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ঝড় বৃষ্টি নেই। ফলে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যেখানে খবর পাচ্ছি আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি ঠিকাদারের মাধ্যমে সচল রাখতে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ চলমান রাখতে আলোচনা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে সাধারণ গ্রাহক যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।

জানা গেছে, জেলার সাড়ে ৬ লাখ গ্রাহকের জন্য ২৬টি অভিযোগ কেন্দ্রসহ ২০টি সাব-স্টেশন ও ১২ টি জোনাল অফিস রয়েছে।

এএইচ