দুপুর দুইটায় পাচহাট গ্রামের সামনে ভেসে ওঠে মাসুম মিয়ার মেয়ে সামিয়ার (১১) মরদেহ। ডুবুরি ও স্থানীয়রা মরদেহ দেখে উদ্ধার করে। এর আগে শনিবার দুপুরে উষামনি (৭) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে ময়মনসিংহের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নেত্রকোণা ইউনিটের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ডুবে যাওয়া স্পিডবোটটির সন্ধানও এখনো পায়নি। তবে একটি চেয়ার তারা উদ্ধার করেছে। এর আগে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্পিডবোটটি ডুবে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের পাচহাট আন্ধার গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বরযাত্রী নিয়ে বউ আনতে যাওয়ার কথা ছিল কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মিরকা গ্রামে। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পানি কাটতে ১২ জন নারী ও শিশু নিয়ে স্পিডবোটে গেলে নদীতে অবৈধ ভিমজালে মাছ ধরার খোসা নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে খোসা নৌকায় থাকা ছাত্তার ও তার ছেলে জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্পিডবোটে ওঠে বোটচালককে মারধর করে ও ধস্তাধস্তিতে বোটটি ডুবে যায় ধনু নদীতেই।
এ সময় আট জন সাঁতরে অন্য নৌকায় উঠে প্রাণে বাঁচতে পড়লেও চারজন নিখোঁজ রয়। প্রাণে বেঁচে ফেরা ফাতেমা বলেন তারা অনুনয়বিনয় করলেও বাবা পুত্র বোটটি ডুবিয়ে দেয়। এসময় তিনি তার সাত বছরের মেয়েকে হারিয়ে ফেলেন। যার মরদেহ শনিবার ভেসে ওঠে। এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
স্বপন মিয়ার মেয়ে লায়লা ও বর রানার বোন শিরিনের লাশ রবিবার পাচহাট গ্রামের স্কুলের পাশে ধনু নদীর কিনারায় ভেসে উঠলে নিখোঁজদের খোঁজে থাকা স্বজন ও স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার করে। এরপর একই দিনে দুপুরে দুইটায় পাচহাট গ্রামের সামেন ভেসে ওঠে মাসুম মিয়ার মেয়ে সামিয়ার মরদেহ ডুবুরি ও স্থানীয়রা দেখে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত করা হয়েছে।