এদিকে দুদিনের আন্দোলনের পরেও দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল সোমবার (১৯ মে) থেকে পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আজ সে কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন।
মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ সমন্বয়ক সাদ ইবনে শরীফ জানান, মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদানের জন্য অনূর্ধ্ব ছয় মাসের প্রি-সি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ক্যাডেট সিডিসি প্রদান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইঞ্জিন ও মেশিন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ বিধান চালু এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নত করণসহ তিন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, ফরিদপুর, এবং বাগেরহাটের বিআইএমটিগুলোতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি) প্রি-সি ট্রেনিং (সাগরে জাহাজে চাকরির জন্য করা ট্রেনিং) এর সুযোগ নেই।
যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেখান থেকে এ পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের এ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম যে, হয় আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রি-সি ট্রেনিং চালু করা হোক, নতুবা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
দীর্ঘদিন এ দাবি জানিয়ে আসলেও সেটি করা হচ্ছে না। যে কারণে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাই আমরা আমাদের যেসব দাবি আছে সেগুলো আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, মেরিন শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমাতে কোনো সরকারি চাকরির সার্কুলার নাই। এতে করে কোর্স শেষ করেও দেশে চাকরির সুযোগ তৈরি হয় না। চাকরির জন্য বিদেশে যেতে হয়। এ বৈষম্য আমরা চাই না।
এদিকে মেরিন ইনস্টিটিউটে ‘মেরিন টেকনোলজি’ সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞ শিক্ষক নেই বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। যে কারণে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়েই তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শনিবার প্রথম দিন আমরা অর্ধদিবস ক্লাস বর্জন কর্মসূচির পর রোববার পূর্ণ দিবস ক্লাস বর্জনসহ প্রতিবাদ মিছিল করেছি। সোমবার থেকে পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরাও। ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির ইন্সট্রাক্টর এ হাফিজ জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের। শিক্ষক সংকটের বিষয়েও তারা সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।