সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ বিদেশে। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম আগেভাগেই পাকে। গত কয়েক বছর আমের গুণগত মান ঠিক রাখতে জেলা প্রশাসন থেকে আম সংগ্রহের নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হচ্ছে। এজন্য জাতভেদে আম গাছ থেকে সংগ্রহের জন্য তৈরি করা হয় আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ ক্যালেন্ডার।
তবে এই ক্যালেন্ডার নিয়ে চাষিদের রয়েছে নানা অভিযোগ। তাদের দাবি, কোন পরামর্শ না করে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের পরামর্শে কৃষি বিভাগ ও জেলা প্রশাসন থেকে তারিখ নির্ধারণ হয়। এতে সময়মত বাজার ধরতে পারেন না প্রকৃত চাষিরা। তার উপর রয়েছে বৈরি আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কা। ফলে প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
প্রতিবছরই সাতক্ষীরার আম আগেভাগেই বাজারে আসে। তাই এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা আম কিনতে আসতে শুরু করেছেন সাতক্ষীরায়। বাজারে উঠতে শুরু করেছে গোলাপখাস, সরিখাস, গোপালুভোগ, বোম্বাইসহ দেশি জাতের টক আম। তবে, এবছর আমের ক্যালেন্ডার প্রকাশে দেরি হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় আমচাষীরা।
এদিকে অপরিপক্ব আম বাজারজাত বন্ধ করতে চালানো হচ্ছে অভিযান। নষ্টা করা হচ্ছে জব্দকৃত আম। তবে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এ ধরনের কাজে ক্ষোভ জানিয়েছেন আম চাষিরা। যদিও, কৃষি বিভাগ বলছে, কিছু আগাম জাতের আম পাকা শুরু হলেও, অধিকাংশ এলাকায় এখনও পরিপক্ব হয়নি।
সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার আম বাগান রয়েছে। এখান থেকে এবার ৬২ হাজার ৮শ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ, যার মধ্যে প্রায় ৫শ টন আম রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।