স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও মাঝারি মাত্রার দমকা হাওয়া বইছে। দুপুরের পর জোয়ার আসতে শুরু করলে তীব্র স্রোতের সঙ্গে চরচান্দিয়া, চরমজলিশপুর, চরদরবেশ ও বগাদানা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সাহেদ সাব্বির নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের তালতলি, ইতালি মার্কেট, উত্তর চরদরবেশ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাতে আবার জোয়ার আসলে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে পারে। তবে লোকালয়ে এ পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না।
আরো পড়ুন:
মনোয়ার হোসেন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ২৪ এর ভয়াবহ বন্যায় মুছাপুর ক্লোজার ভেঙে যাওয়ার এতোদিন পর এসেও পুনর্নির্মাণ হয়নি। তখন এখানে উপদেষ্টাও পরিদর্শন করে গেছেন। এজন্য এখন জোয়ারের পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত জেলাজুড়ে এ বৃষ্টিপাত আরো বাড়বে বলছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টি বাড়লে ভারতের উজানের পানিতে মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, 'ভারতের উজানে বৃষ্টিপাত বাড়লে বাংলাদেশের অংশে নদীর পানি বাড়বে। এখনো মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার আশঙ্কায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার পরশুরাম উপজেলায় ২১টি ও ফুলগাজীতে ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়ে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'
আরো পড়ুন:
ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, 'সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় ৪২.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। আরো দুইদিন জেলাজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।'
এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন বলেন, 'জোয়ারের পানিতে উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। মাঠে সিপিপি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।'