গতকাল রোববার সকাল থেকে আখাউড়া উত্তর, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে করে সীমান্তবর্তী কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, ইটনা, বাউতলা, কেন্দুয়াই ও আবদুল্লাহপুরসহ অন্তত ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় গ্রামের অধিকাংশ সড়ক।
এতে করে ওই ৩ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্ণেল বাজার এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধটি ভাঙন ঝুঁকিতে পড়ে। ভারত থেকে আসা ঢলের পানি ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে হাওড়া নদীর পানিও বাড়ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম জানান, দুর্গতদের জন্য ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ পরিবার বাড়িতে মূল্যবান জিনিসপত্র ও গবাদি পশু ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না।
এরই মধ্যে দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরো ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত করা হচ্ছে।