নোয়াখালীতে ২০২৪ সালের বন্যায় সরকারি হিসাব মতে, প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এ বিপুল পরিমাণ ক্ষতি পুষিয়ে না উঠতেই গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
খামারিরা বলেন, ‘প্রজেক্টের সব মাছ ভেসে গেছে। ছোট থেকে বড় সব মাছ ভেসে গেছে। বীজতলা, জমিন সবই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
এ জলাবদ্ধতা বাড়তে থাকায় তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। জলাবদ্ধতায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতেও। বছর না পেরোতেই আবারো ক্ষতির মুখে পড়ে সব কিছু হারিয়েছেন অনেকেই।
বছর না পেরোতেই আবারো বন্যার আশঙ্কার জন্য স্থানীয়রা দায়ী করছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঁধসহ পরিকল্পনা ও সদিচ্ছার অভাবকে। তাদের দাবি, দ্রুতই বাঁধের পরিকল্পিত সমাধান হলে জলাবদ্ধতাসহ ভাঙনের সমাধান হবে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই এত পানি জমে যায়। পানি জমার মূল কারণ হলো আশেপাশের প্রজেক্টগুলো। এগুলোর কারণে বাড়ির পানিগুলো যেতে পারেনা।’
সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেন, জেলা প্রশাসক। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘অনেক জায়গায় দেখা গেছে যে ড্রেনই নেই। আবার অনেক জায়গায় রাস্তা থেকে ড্রেন ছোট। ফলে জলাবদ্ধতা অন্যতম সমস্যায় পরিণত হয়েছে। খালগুলো খনন করা হলে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সমাধান আসবে।’