জুলাই আন্দোলনে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দাবিতে তাদের স্মরণেই এই আয়োজন। আজ (শুক্রবার, ১৮ জুলাই) সকালে রাজধানী ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে প্রতীকী এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ম্যারাথনে অংশ নেন শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতসহ কয়েক শতাধিক প্রতিযোগী। ম্যারাথন চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন-মানিক মিয়া এভিনিউ-বেগম রোকেয়া এভিনিউ হয়ে ফের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শেষ হয়। পাঁচ কিলোমিটারের এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দের কথা জানান আহতরা।
আহতদের মধ্যে একজন বলেন, ‘অনেকদিন ধরে মেডিকেলে ছিলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আমরা তো সচরাচর বের হতে পারি না, আমাদের তো হাঁটাচলা অসম্ভব।’
অন্য একজন বলেন, ‘হাসপাতালের আহত ভাইরা আজ সবাইমিলে আসছি, একত্রিত হয়েছি। আমাদের মনেও খুব ভালো লাগছে।’
পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এসময় অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে তিনি জানান, খুব শিগগিরই জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থের জন্য ম্যারাথন আয়োজন করা হবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের একটা ফান্ড উত্তোলন উপলক্ষে আমরা আরেকটা ম্যারাথন আয়োজন করবো। আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আহতদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লড়াইটাও একটা ম্যারাথনের মতো। যত কষ্টই হোক, এটা আমাদের শেষ করত হবে। যত সময়ই লাগুক আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এদিকে রাজধানীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় এই প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় জড়ো হন তরুণ-তরুণীসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা। অংশ নেয় সাড়ে ৬ শ’ প্রতিযোগী।
সিলেটে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই তিন শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ম্যারাথন অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা নগরীর ক্বীনব্রীজ থেকে জিন্দাবাজার, রিকাবীবাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্ট হয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আবারও ক্বীনব্রীজে ফিরে আসেন।
বরিশালে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। ম্যারাথনটি সি এন্ড বি রোড হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজে শেষ হয়। এই আয়োজন জুলাই চেতনাকে আরও উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা।
ময়মনসিংহে তিন ধাপে হয় ম্যারাথন হয়। প্রথম ধাপে সংক্ষিপ্ত দৌড়ে অংশ নেন জুলাই যোদ্ধাসহ আহতরা। পরে দৌড়বিদরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।