পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (৪ জুন) গভীর রাতে বারহাট্টা বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়। তল্লাশি চৌকির বিষয়ে টের পেয়ে চোরাকারবাররা ভিন্ন পথে যায়।
পরবর্তীতে চিরাম ইউনিয়নের নৈহাটি বাজার থেকে নেত্রকোনার দিকে আসা ভারতীয় বিভিন্ন শাড়ি বোঝাই একটি ট্রাক আটক করেন স্থানীয়রা। এরপর জরুরি সেবা ত্রিপল নাইনে কল দিলে বারহাট্টা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছ। এরপরে জনতার হাতে আটকের পর ট্রাকটি পুলিশ গিয়ে জব্দ করে। তবে ট্রাক চালক পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ।
জব্দকৃত মালামালসহ বৃহস্পতিবার শাড়ি বহনকারী আটক ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ন, ১২- ০০৫৩ নং) থানায় নিয়ে আসা হয়। মালামালগুলো জব্দ তালিকা করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মহেশখলা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। তারা গভীর রাতে বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের নৈহাটি বাজারের সড়কটি নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। রাজনৈতিকসহ সকল ধরনের মানুষকে ম্যানেজ করে চোরাচালান চক্রটি বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার ওসি জানান, গত বুধবার রাতে তারা চোরাকারবারি একটি চালান রয়েছে এমন বিষয়ে পুলিশের জরুরি সেবা ত্রিপল নাইনে কল পেয়ে উপজেলার চিরাং ইউনিয়নে যান। সেখানে গিয়ে যার বাড়ির কথা বলা হয়েছিলো তার বাড়িতে কিছুই পাওয়া যায় নি। পরে খবরদাতার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায় হয়তো দেরি হওয়ায় চলে গেছে। এরপর রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে টহল চলে।
পরে আবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয়রা একটি ট্রাক আটক করেছে গেরিয়া বাজারে নৈহাটি এলাকায়। সেখানে গিয়ে ট্রাকটি মালামালসহ জব্দ করা হয়। পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ট্রাকের মালামাল তালিকা করা হয়। এ সবকিছু কোর্টে প্রেরণ করা হবে। কোর্ট যে সিদ্ধান্ত দেয় সে অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় এই মালামাল পেয়ে তাদের নিয়েই থানায় তালিকা করি।