গ্রেপ্তাররা হলেন— লঞ্চের ম্যানেজার রিয়াজুল করিম বেলাল এবং লঞ্চের মাস্টার শুকুর আলী।
এ ঘটনায় কোস্ট গার্ড বরিশাল জোনের কনটিজেনটাল কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজালাল বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলাদার করেছেন।
কোষ্টগার্ড জানায়, শুক্রবার রাত ৯টায় কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও প্রায় ৩ ঘণ্টা বিলম্ব করে যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে মাঝ নদীতে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা, ট্রলারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় তারা।
কোষ্টগার্ড আরো জানায়, বরিশাল পৌঁছানোর পর অতিরিক্ত ভাড়া দাবিসহ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও লঞ্চের বিভিন্ন অনিয়মকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।
লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান ও তার ছেলে শান্ত হাসান দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড সদস্যদেরকে হুমকি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা প্রদান করে বলেও জানায় কোস্ট গার্ড।
এসময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চ হতে নিরাপদে নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।