নারায়ণগঞ্জে দোকান ভাড়া নিয়ে মালিককে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

নারায়ণগঞ্জ
দোকান ভাড়া নিয়ে পরিচালিত বিএনপির কার্যালয়
এখন জনপদে
অপরাধ
0

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির স্থানীয় কার্যালয় হিসেবে ভাড়া নেয়া দোকানের বকেয়া ভাড়া চাওয়ায় মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৬)। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই) রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানায় পুলিশ। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন।

উল্লেখ্য, বুধবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শালমদী এলাকায় স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ের ১০ মাসের বকেয়া ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে মালিক মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে (৫৭) মারধর করা হয়। এতে করে সে আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:

এ ঘটনায় রাতে আড়াইহাজার থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারনামীয় নয় আসামি হলো- তোতা প্রধান ওরফে তোতা মেম্বার (৭০), বেনু প্রধান (৭৫), আলম প্রধান (৪৫), রাসেল প্রধান (৩৫), খোকন প্রধান (৪০), সাদ্দাম (৩৫), জাহাঙ্গীর প্রধান (৪০), হানিফা (৪৫) এবং হাসেম (৪৫)। এছাড়া মামলায় আট থেকে দশ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির। এদিকে জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে।

অভিযুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা বিএনপির চিঠি |ছবি: এখন টিভি

বুধবার রাতেই জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের এ গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত পাঁচজনকে বহিষ্কারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন— তোতা প্রধান (সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি), খোকন প্রধান,(সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল), রাসেল প্রধান (সদস্য, বিএনপি), আলম মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন (উভয়ের পিতা বেনু মিয়া)।

চিঠিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করেন।

এএইচ