গ্রেপ্তার ফয়সাল নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার পাঁচদোনা মেহেরপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে বাগমারা এলাকায় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গেলে ফয়সালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন ফয়সাল নিজেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সেনা কর্মকর্তা দাবি করে এবং একটি সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র দেখিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করে।
পরবর্তীতে ভুয়া পরিচয়ের আড়ালে ওই নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। চলতি মাসের ৯ আগস্ট তিনি ওই নারীর ১ লাখ টাকাসহ তাকে নিয়ে ময়মনসিংহে যান এবং সেখানে ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এরপর কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বারবার তাকে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী বুঝতে পারেন যে, ফয়সাল সেনাবাহিনীর কেউ নন।
ওই নারী অভিযোগ করেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর টাকা ফেরতের দাবি করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ফয়সাল। অবশেষে ২১ আগস্ট সকালে কৌশলে ভাইকে ফোন করে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী ওই নারী।
আরও পড়ুন:
পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে নারীকে উদ্ধার ও প্রতারক ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি ভুয়া সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড, একটি আর্মি ব্যাগপ্যাক, আর্মি রঙের টি-শার্ট এবং ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলম জানান, ফয়সাল দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীর স্ত্রী ও অসহায় নারীদের টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন। এর আগে, গোপালগঞ্জের এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করা ছাড়াও ময়মনসিংহে প্রবাসীর স্ত্রীকে একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে তালাক করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে শাহবাগ ও তুরাগ থানায়ও মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।