পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার অভিযোগে অভিযুক্ত আরমানকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় তার দুই সহযোগী আশিক ও বাধন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাপাতি, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তবে আরমানকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আশিক পৌর শহরের বথপালিগাঁও মহল্লার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে এবং বাধন একই শহরের রঘুনাথপুর মহল্লার মকবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন:
আশিক একসময় স্থানীয় গর্বের প্রতীক ছিলেন। জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব–১৫ দলে খেলার সময় তিনি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন। ২০১৯ সালে নেপালে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলায় মাঠে নেমে দুটি গোল করে আলোচনায় আসেন। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৯–০ গোলে জয়লাভ করে। আশিককে তখন দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ ফুটবলারদের একজন হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি ফুটবল মাঠ থেকে সরে গিয়ে ভিন্ন পথে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং অভিযুক্ত আরমানের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন:
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃত আশিক ও বাধনকে মূল আসামির সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।’