তবে নদী থেকে তোলা বালু বিলে ফেলার নির্দেশ দেন অভিযান পরিচালনা করা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। আর এ নির্দেশেই দুই নৌকার প্রায় ৪০০ ঘনফুট বালু ফেলা হয়েছে মান্দারা বিলে। পানি নেমে গেলেই এ জমিগুলোতে আবাদ হয় বোরো ধান। বিলে বালু ফেলায় রীতিমতো ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। প্রশাসনের এমন নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়েও দেয়া হয়।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইমরান হাসান নামে একটি নৌকার মালিককে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর আওতায় নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়।
স্থানীয়রা জানান, জব্দ করা নৌকার বালু সরাসরি মান্দারা বিলেই ফেলা হয়েছে, যা ফসলি জমির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বালু জব্দের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বালু সংরক্ষণ বা অপসারণের বিকল্প ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু ফসলি মাঠে বালু ফেলে দিলে কৃষকের ক্ষতি হবে। ভবিষ্যতে যেন কৃষিজমির ক্ষতি না হয়, প্রশাসনের সেদিকে নজর দেয়া উচিত।’
এদিকে কলমাকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে দুই নৌকা বালু জব্দ করে তাৎক্ষণিক তা বিনষ্ট করেছে। বালুগুলো নদী থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আর বিলের বালু ভর্তি নৌকাগুলো পাওয়ায় বিলেই বালু ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়।’
নদীর বালু বিলে ফেলায় পরিবেশ বিপর্যয় হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুই নৌকায় তেমন বেশি বালু ছিল না। বিলে এখন অনেক পানি রয়েছে আশা করি পানির সাথে বালুও ভেসে যাবে।’
এ ব্যাপারে জানতে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলো তাকে পাওয়া যায়নি।