পুলিশ জানায়, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে জাজিরা থেকে নাওডোবা যাচ্ছিলেন রমজান। পথে ৪-৫ জনের সংঘবদ্ধ চক্র তার গতিরোধ করে। পরে জোরপূর্বক তাকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে এবং পায়ের রগ কেটে দেয়।
রমজানের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে পালানোর সময় শাজাহান সম্রাট নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন আরেক হামলাকারী সুমন শিকদারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হোসেন শিকদার বলেন, ‘খবর পাই বাঁশঝাড়ের ভেতর এক লোককে মারধর করা হচ্ছে। পরে লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি এক লোককে সুমন শিকদারসহ আরও কয়েকজন মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে। পরে আমাদের দেখে সুমনসহ সবাই দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজাহানকে আমরা আটক করে পুলিশে দিয়েছি।’
হামলার শিকার আহত রমজান মোল্লা বলেন, ‘আমি অটো নিয়ে নাওডোবা যাওয়ার সময় সুমন শিকদার, সোহেল চাপলাসী, সোহেল চৌকিদার, শাহজাহান সম্রাট, বাচ্চু সুমনসহ আরও কয়েকজন মিলে গাড়ি থামায়। এরপর আমাকে জোর করে বাঁশ-বাগানে নিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে ও হাত পায়ের রগ কেটে দেয়।’
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মেদ পারভেজ সেলিম ঘটনার মূল কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেননি। তিনি জানান, রমজান মোল্লা নামের এক ব্যক্তির চোখ উঠিয়ে ফেলা হয়েছে ও হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। পুলিশের সহায়তায় আহতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।