ছিনতাইকারী সন্দেহে মোহাম্মদপুরের নবীনগরে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পিটিয়ে হত্যা করা হয় হানিফ ও সুজন নামের দুই ব্যক্তিকে। গুরুতর আহত শরীফ ও ফরসাল নামে আরও দুইজন। তবে স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটক সাজিয়ে তাদের মারা হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, বিএনপির নবীনগর পশ্চিম ইউনিটের সভাপতি মো. হাসনাইন এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। সঙ্গে ছিল মালেক ও আকতার নামে আরও দুই কর্মী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ভিন্ন কথা বললেন এ নেতা।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিটের সভাপতি মো. হাসনাইন বলেন, ‘যারা আগে ছিনতাই করেছে তাদের মানুষ ধরে গণপিটুনি দিয়েছে। আমার সঙ্গে এদের দেখা হয়নি। আমি ৯৯৯ এ কল দিয়েছি। আপনারা যদি আমার সম্পৃক্ততা খুঁজে পান তাহলে ব্যবস্থা নিয়েন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা প্রকাশ্যে থাকলেও তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো আহতদের আটক করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন:
এলাকাবাসী জানান, তারা মেরে ফেলে এরপর পুলিশ কল দিয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত হানিফ ও সুজনের নামে থানায় একাধিক মামলা ছিল। তদন্ত করে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিকুল আহমেদ বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ সুরতহাল করা হয়েছে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মবের ঘটনাও। গেল ১৫ দিনে শুধু মোহাম্মদপুরেই ২০০ আসামিকে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আদালতে চালান দিয়েছে পুলিশ। এমন পরিস্থিতির শেষ কোথায় সেটাই এখন প্রশ্ন।